বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে নানাভাবে সতর্ক হতে হয়। সবার আগে সচেতন হতে হয় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে। সেজন্য খাবার খেতে হয় বুঝেশুনে। কিছু খাবার রক্তে গ্লুকোজের দ্রুত বৃদ্ধি, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. চিনিযুক্ত পানীয়
কোল্ড ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, মিষ্টি আইসড টি এবং ফলের রসে অতিরিক্ত চিনি থাকে যা রক্তে গ্লুকোজের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়। এই পানীয়গুলোতে ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয়। এ ধরনের পানীয়ের পরিবর্তে খাবার পানি, ভেষজ চা অথবা মিষ্টি ছাড়া পানীয় বেছে নিন।
২. সাদা রুটি, ভাত এবং পাস্তা
সাদা রুটি, সাদা ভাত এবং পাস্তার মতো পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক থাকে, যার অর্থ এগুলো দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। এই খাবারগুলোতে ফাইবারেরও অভাব থাকে, যা গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে। বাদামী চাল, গমের রুটি অথবা কুইনোয়ার মতো দানা শস্য বেছে নিন।
৩. ভাজা খাবার
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাইসহ ডুবোতেলে ভাজা সব খাবারে অস্বাস্থ্যকর ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। এই ফ্যাটগুলো ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বেকিং, গ্রিল করা বা এয়ার ফ্রাই করা স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি।
৪. প্রক্রিয়াজাত মাংস
সসেজ, হট ডগ এবং ডেলি মাংসে সোডিয়াম এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ধরনের খাবারের পরিবর্তে গ্রিল করা মুরগি, মাছ, টোফু বা লেবু জাতীয় চর্বিহীন প্রোটিন বেছে নিন।
৫. প্যাকেটজাত খাবার এবং বেকড পণ্য
কুকি, পেস্ট্রি, চিপস এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারে পরিশোধিত চিনি, সাদা ময়দা এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার বৃদ্ধি এবং প্রদাহে অবদান রাখে। নাস্তা হিসেবে পরিমিত পরিমাণে বাদাম, টক দই বা তাজা ফল খান।
৬. মিষ্টি দই
যদিও দই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার, তবে মিষ্টি দই অতিরিক্ত চিনিতে ভরপুর থাকে। মিষ্টি স্বাদযুক্ত দইয়ের পরিবর্তে মিষ্টি ছাড়া টক দই বেছে নিন। চাইলে প্রাকৃতিক মিষ্টির জন্য তাজা বেরি বা বাদাম যোগ করে খেতে পারেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)