বৃহঃস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া কি নিরাপদ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত:১১ জুন ২০২৫, ১২:৪২

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

গ্রীষ্মকালে ফলের বাজারে গেলেই চোখে পড়ে ঝুড়ি ভর্তি কালো জাম। ছোট-বড় সবাই ফলটি পছন্দ করেন। লবণ-মরিচ মেখে জাম খেয়ে মুখ রাঙানোর স্মৃতি রয়েছে অনেকেরই। তবে কেবল রসনাতৃপ্তি নয়, জামের আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও।

তবে হবু মায়েদের মতে একটা চিন্তা থেকেই যায়। গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া যাবে তো? এই প্রশ্নের জবাবই চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক-

জামের গুণাগুণ
জাম খেতে যে কেবল সুস্বাদু এমনটা নয়, এটি একাধিক পুষ্টিগুণে ঠাসা। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। তাই জাম খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো খনিজ। আরও আছে ভিটামিন সি, বি৬, থিয়ামিন ও রাইবোফ্ল্যাভিন।

এসব পুষ্টিগুণেই জাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পাশাপাশি হাড়ও হয় মজবুত। তাই যে কোনো ব্যক্তিই জাম খেতে পারেন। কিন্তু গর্ভবতী নারীরা?

গর্ভাবস্থায় কি জাম খাওয়া নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। তাই জাম খেলে কোনো ক্ষতি নয়, বরং লাভ হবে হবু মায়েদের। এমনকি শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানও রয়েছে জামে। তাই গর্ভবতী নারীদের জাম খেতে ইচ্ছে করলে খেয়ে ফেলুন।

জাম খেলে হজমশক্তি বাড়ে:
হজমে সাহায্য করে গ্রীষ্মকালীন এই ফল। তাই গর্ভাবস্থায় জাম খেলে বদহজম হয় না। এমনকি ডায়রিয়া ও আলসারের মতো সমস্যা থেকেও দূরে থাকা যায়। অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় নিয়মিত জাম খেলে পেটের স্বাস্থ্য নিয়ে স্ট্রেস বাড়বে না গর্ভবতী নারীদের।

এছাড়া গর্ভাবস্থায় অনেক নারীই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। ফাইবারে পরিপূর্ণ জাম খেলে পেটের স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো থাকবে। মুক্তি মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে।

জাম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়ে দ্রুত। অনেকের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়ায়। তাই ওবেসিটির খপ্পরে পড়েন গর্ভবতী নারীরা। ওজন বাড়ার কারণে নানা স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দেয়। যার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। চিকিৎসার পরিভাষায় একে প্রিক্ল্যাম্পসিয়াও বলা হয়।

জামে আছে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় জাম খেলে রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সুস্থ থাকবে মা ও হবু সন্তান। ক্যালোরি কম থাকায় জাম খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে না।

জাম বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও:
জামে আছে নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ। এসব উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে গর্ভাবস্থায় সর্দি-কাশি, জ্বর সহ ছোট, বড় নানা সংক্রমণ থেকেও মুক্তি মিলবে জাম খেলে।

এছাড়া জামে আছে আয়রনও। শরীরে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই খনিজ। আর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়লে রক্তাল্পতাও দূর হবে গর্ভবতী নারীদের।

জাম খেলে মিলে এসব উপকারিতাও:
১. জামে আছে ভিটামিন এ। এই ভিটামিন শিশুর দৃষ্টিশক্তির বিকাশে সাহায্য করে।

২. জামের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ধর্ম আছে। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত জাম খেলে মুখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। দাঁত ও মাড়ির সমস্যা থাকবে দূরে।

৩. জামে আছে ম্যাগনেসিয়ামের। এই খনিজ সময়ের আগে সন্তান প্রসব হওয়া আটকায়। ফলে ভ্রূণের পুরোপুরি বিকাশ ঘটে।

৪. গর্ভাবস্থায় অনেক নারীই ডায়াবেটিসের খপ্পরে পড়েন। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বলে। তাই ডায়াবেটিসকে জব্দ করার ক্ষেত্রে মহৌষধির কাজ করে এই ফল।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৪৪ ভোর
যোহর ১১:৫৮ দুপুর
আছর ০৪:৩৮ বিকেল
মাগরিব ০৬:৫০ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১৩ রাত

বৃহঃস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫