শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২


৫০ দিনে আপনার জীবন বদলে দেবে এই ৭ অভ্যাস

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত:২১ জুন ২০২৫, ১৮:৪৬

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

নিজের ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভবত আমরা সবাই চাই। কিন্তু চ্যালেঞ্জগুলোতে লেগে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকটা উৎসাহ নিয়ে শুরু করার পর ধীরে ধীরে তা ক্লান্তিকর হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আকর্ষণীয় স্লোগান এবং চটকদার প্রবণতার বাইরে একটি সহজ সত্য আছে - ছোট, স্থির অভ্যাসগুলো সবচেয়ে ভালো কাজ করে। রাতারাতি বিশাল পরিবর্তন করার দরকার নেই। আপনার কেবল ধৈর্য, ​​সততা এবং নিজের জন্য প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।

আপনি যদি মাত্র ৫০ দিনের জন্য এই ৭টি সহজ অভ্যাস মেনে চলতে পারেন, তাহলে পার্থক্য অনুভব করতে পারবেন। এটি আগে এবং পরে একটি বড় পরিবর্তন না-ও দেখাতে পারে, তবে আপনি নিজের শক্তি, মেজাজ এবং দিনটি কীভাবে কাটাচ্ছেন সেই পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পর্যাপ্ত ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন

ব্যস্ত রুটিনে আমরা প্রায়ই ঘুমের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে থাকি। কিন্তু এটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি। নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের চক্র স্মৃতিশক্তি, বিপাক এবং একাগ্রতা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমানোর সময় নির্দিষ্ট রাখা, তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং রাতে স্ক্রিন টাইম সীমিত করার অভ্যাস কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেশ পার্থক্য আনতে পারে।

২. স্ক্রিন ছাড়াই দিন শুরু করুন

অনেকে সকাল শুরু করেন তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেল বা ইনস্টাগ্রাম চেক করে এবং সারাদিন সেই মানসিক অস্থিরতা বহন করে। আপনার দিনের প্রথম ঘণ্টা ফোন-মুক্ত রাখলে মন স্থির হওয়ার জন্য সময় পাবে। আপনি এই সময়ে স্ট্রেচিং, দিনের পরিকল্পনা, হালকা পড়া, অথবা কেবল চুপচাপ চিন্তা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি ছোট পরিবর্তন, কিন্তু শক্তিশালী।

৩. প্রতিদিন মুভমেন্ট বজায় রাখুন

মুভমেন্ট মানে হার্ডকোর জিম সেশন নয়। এর লক্ষ্য হলো ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, তীব্রতা নয়। এক ঘণ্টার মুভমেন্ট যেমন- হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতারঅথবা যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করুন। এটি আপনার স্ট্যামিনা উন্নত করবে, মানসিক চাপ কমাবে এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা বজায় রাখবে।

৪. প্রতিদিন ১০ পৃষ্ঠা করে পড়ুন

পড়া আপনার মনকে সচল এবং তীক্ষ্ণ রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়ের মধ্যে একটি। দিনে মাত্র ১০ পৃষ্ঠা নতুন ধারণা তৈরি করতে পারে, দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করতে পারে এবং স্ক্রিন থেকে বিরতি দিতে পারে। তা হতে পারে যেকোনো ধরনের বই। আপনার আগ্রহের বিষয়গুলো বেছে নিন এবং পড়ার অভ্যাস ধরে রাখুন।

৫. নতুন কিছু শেখার জন্য এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করুন

ব্যস্ত কর্মদিবস এবং অন্তহীন করণীয় তালিকার মাঝখানে, ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি প্রায়ই পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু ডিজিটাল ডিজাইন, লেখালেখি, জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলা, নতুন কোনো ভাষা শেখা, এমনকী কোনো শখের ক্ষেত্রেও প্রতিদিন এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করলে তা অপ্রত্যাশিত সুযোগ তৈরি করতে পারে।

৬. আপনার খাবার সহজ এবং সুষম রাখুন

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মানে কঠিন খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা নয়। ঘরে রান্না করা খাবার, বেশি বেশি শাক-সবজি, পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে নিয়মিত। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত চিনি বা প্যাকেজজাত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনি যা খাওয়ান তাতে আপনার শরীর দ্রুত সাড়া দেয় এবং আপনার শক্তির স্তর তা প্রতিফলিত করবে।

৭. ১০ মিনিট ধ্যানের মাধ্যমে দিন শেষ করুন

ঘুমানোর আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট নীরবতা পালন করুন। এটি ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, এমনকী চোখ বন্ধ করে চিন্তাভাবনা ধীর করে দেওয়াও হতে পারে। এই নীরব সময় আপনার শরীরকে শান্ত করতে এবং ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৪৪ ভোর
যোহর ১২:০০ দুপুর
আছর ০৪:৪০ বিকেল
মাগরিব ০৬:৫২ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১৬ রাত

শনিবার ২১ জুন ২০২৫