সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। জনগণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে।
সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদের ৯ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধু আইন, বিধি প্রয়োগ করে জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে না। এজন্য ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সবাইকে সচেতন হতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য খাদ্য শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদ্য শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ যে কোনো সময়েই খাদ্যকে অনিরাপদ করতে পারেন। অনিরাপদ খাদ্য সবসময়ই শরীরের সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ খাবারের ব্যাপারে সচেতনতার বিকল্প নেই। আর এই সচেতনতা শুরু করতে হবে নিজ নিজ ঘর থেকে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাত্রই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
খাদ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, জাপান সরকারের অর্থায়নে দশ বছর মেয়াদি ২ হাজার ৪০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি খাদ্য পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দেশের অন্য বিভাগেরও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।
সভায় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধিবিধান ও জাতীয় নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো দ্রুত অংশীজনের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকের জনবল বৃদ্ধিসহ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবং গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)