শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২


‘আন্দোলন’ করলে সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক অবসর, অধ্যাদেশ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:২৪ জুলাই ২০২৫, ১৬:১৮

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। সংশোধিত এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি কোনো কর্মচারী আন্দোলনে গেলে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।

বুধবার (২৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে গেলে, অর্থাৎ নিজে নিয়ম লঙ্ঘন করে অপর একজন সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দিলে কিংবা তাকে তার কাজ থেকে বিরত রাখলে, ওই কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসরসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।

সংশোধিত এই অধ্যাদেশের ৩৭ এর (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কোনো কর্মচারী কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তবে তা সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ওই কর্মচারী উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এ বলা হয়েছে, (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কর্মের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান কিংবা চাকরি হতে বরখাস্ত করা যাবে।

যদিও সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশে সরাসরি আন্দোলনের কথা বলা হয়নি। তবে যেভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা আন্দোলনকে বুঝায় বলে অভিমত আইনজীবীদের।

সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু বর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয় এবং যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় আছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট তা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান আছে; সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশের ৩ এ বলা হয়েছে, (৩) যে ক্ষেত্রে কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অসদাচরণের জন্য কার্যধারা গ্রহণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা এতদুদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, অভিযোগ গঠন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে, অতঃপর অভিযুক্ত ব্যক্তি বলে অভিহিত, কেন এই ধারার অধীন দোষী সাব্যস্তপূর্বক দণ্ড আরোপ করা হবে না, এই মর্মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রদান করবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে শুনানি করতে ইচ্ছুক কি-না, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সেটিও ওই নোটিশে উল্লেখ করবেন।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। তবে এমন ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মচারী দণ্ড আরোপের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ধারা ৩৬ অনুযায়ী উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন এবং রাষ্ট্রপতি যেমন প্রয়োজন মনে করবেন, তেমন আদেশ দেবেন।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:০০ ভোর
যোহর ১২:০৫ দুপুর
আছর ০৪:৪৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.৪৯ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১০ রাত

শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫