রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
বড় খামারিদের মাধ্যমে নয়, বরং গ্রামবাংলার নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, প্রাণিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে প্রাণী ও প্রাণিখাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চরাঞ্চলের নারীদের নামে জমি বা সম্পত্তি না থাকলেও গবাদিপশু হলো তাদের নিজস্ব সম্পদ। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করলে পরিবার, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যয়ভার নির্বাহ সহজ হয়। যা হয়তো পরিবারের একজন পুরুষ তার আয় থেকে সবসময় করতে পারেন না। এই প্রকল্পের সুফল আমাদের জাতীয় উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, আজ বিতরণ করা গবাদিপশু একসময় সম্পদে পরিণত হবে। পশু অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সেবা গ্রহণের আহ্বান জানাই।
প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. আবদুর রহিম বলেন, প্রাণী ও খাদ্য বিতরণ শুধু উপহার নয়; এটি সুফলভোগীদের স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। এই উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করবে এবং জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আজকের বিশেষ বিতরণ কার্যক্রমে হাঁস পালন প্যাকেজের ৬৪ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ২১টি করে হাঁস, মুরগি পালনে ৬৯ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ২৫টি করে মুরগি, ভেড়া পালনে ৭৪ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ৩টি করে ভেড়া, ছাগল পালনে ১০ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ২টি করে ছাগল প্রদান করা হয়। এছাড়া, ৬৪ জন সুফলভোগীর মাঝে ৭৫ কেজি দানাদার খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিচালক ফরিদা ইয়াছমিন, অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহজামান খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিনাত ফৌজিয়া, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুফলভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)