রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
“শোন ওরে ছোট্ট খোকা
শোন তোর পাপার কথা
দুঃখ যদি আসে কভু জীবনে
হাসি দিয়ে তারে ডেকে দিস।।”
‘লাভ ইন সিমলা’ চলচ্চিত্রে বিশিষ্ট শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের গাওয়া গান এখনো বাবার বিশ্ব অতুলনীয় সুন্দরে নিমজ্জিত গান। মনে হয় গানটি—একা একজন বাবার নয়, দুনিয়ার সব ভাষা ও দেশের গান।
বাবা দুনিয়ার সবচেয়ে অবহেলিত একটি শব্দ অথচ বাবা শব্দটা হওয়া উচিত ছিল প্রতিদিনের মিথ। সমাজ সংসার আবর্তিত হয় নিঃশব্দ পথের অধিক নিঃশব্দ পথিক বাবাকে ঘিরে। সন্তান যখন পথ হারিয়ে দিশেহারা, তখনই একমাত্র বাবাই এসে দাঁড়ান নির্ভরতার প্রতীক হয়ে। বাবা! একটি শব্দ কিন্তু যুগান্তের আশ্বাস! বাবা! মাটির ওপরে উদার এক টুকরো আকাশ।
শামসুর রাহমানের কবিতা বাবাকে নিয়ে—‘কোন দৃশ্য সবচেয়ে গাঢ় হয়ে আছে’?
“কোন দৃশ্য সবচেয়ে গাঢ় হয়ে আছে
এখনও আমার মনে? দেখেছি তো গাছে
সোনালি-বুকের পাখি, পুকুরের জলে
সাদা হাঁস। দেখেছি পার্কের ঝলমলে
রোদ্দুরে শিশুর ছুটোছুটি কিংবা কোনো।
যুগলের ব’সে থাকা আঁধারে কখনো।
দেশে কি বিদেশে ঢের প্রাকৃতিক শোভা
বুলিয়েছে প্রীত আভা মনে, কখনো-বা
চিত্রকরদের সৃষ্টির সান্নিধ্যে খুব
হয়েছি সমৃদ্ধ আর নিঃসঙ্গতায় ডুব
দিয়ে করি প্রশ্ন এখনও আমার কাছে
কোন দৃশ্য সবচেয়ে গাঢ় হয়ে আছে?
যেদিন গেলেন পিতা, দেখলাম মাকে-
জননী আমার নির্দ্বিধায় শান্ত তাঁকে
নিলেন প্রবল টেনে বুকে, রাখলেন
মুখে মুখে; যেন প্রিয় বলে ডাকবেন
বাসরের স্বরে। এখনও আমার কাছে
সেই দৃশ্য সবচেয়ে গাঢ় হয়ে আছে।”
সাহিত্যের সংসারে বাবাকে নিয়ে খুব কী সাহিত্যে আছে? কথাশিল্পী রশীদ হায়দার লিখেছেন, বাবা চরিত্র কেন্দ্র করে অনেকগুলো গল্প। মা কেন্দ্র করে অনেক গল্প উপন্যাস ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। অদ্ভুত হলেও বিচিত্র নামের বাংলা চলচ্চিত্র আছে। কিন্তু বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র খুবই কম।
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে একটা চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল, ‘দি ফাদার’। পরিচালক ছিলেন কাজী হায়াৎ। ফাদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জন নেপিয়ার এডামস। মেয়ের ভূমিকায় অনবদ্য ছিলেন সুচরিতা। এই সিনেমায় অসাধারণ গান ছিল—‘আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়’। গোটা ছবিতে সন্তানের জন্য একজন পিতার আকুতি ছড়িয়ে ছিল।
বাবা! অনেক সময় উপহাসের চরিত্রও বটে কঠিন সংসারের বাস্তবতায়। বাস্তব পরিস্থিতির কারণে বাবা যখন সংসারের দায় বহন করতে পারে না, তখন সন্তানের ব্যবহার, আচার অনেক সময়ে পাথরের ঘায়ে পাথরের আগুন জ্বালায়, তুমি খেতে দিতে পারবে না যখন, জন্ম দিলে কেন?
গল্পে বা উপন্যাসে অথবা সিনেমার সংলাপ—তোমাদের আনন্দের অসতর্ক মুহূর্তের ফসল আমি?
হায় দুনিয়া! জন্মই অপরাধ নয়, জন্ম দেওয়াও অপরাধ পিতার। আরও অপরাধ পিতার—পরিপূর্ণ সংসারের দায় পালন করতে না পারার। সবাই মিলে বাবার ওপর হামলে পড়ে কিন্তু বেচারা বাবা কী করবে? কতদূর যাবে? সাধ্যরও একটা সীমা থাকে তো? কিন্তু স্বার্থের টানে কে কতদূর যাবে?
সংসারে যখন বাবা পুত্র ও কন্যা থাকে তখন ত্রিমাত্রিক একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সংসারের সব গল্পে বা ঘটনায় বাবার পক্ষে থাকে কন্যা, মা থাকে পুত্রের পক্ষে। অনেকে বলেন—এটা হয় সিগমুড ফ্রয়েডের মতানুসারে। বস্তুত এটা সিগমুড ফ্রয়েডের বলার আগেই লিঙ্গ অনুভবের চিরায়ত প্রকৃতিগত প্রথায় প্রচলিত ছিল, তিনি কেবলমাত্র সামনে এনেছেন। বাবার বুকে কন্যা খুব নিরাপদ বোধ করে, মায়ের সঙ্গে অবস্থান করতে স্বাচ্ছদ্যবোধ করে পুত্র। প্রকৃতির এই খেলায় মানুষ চরিত্র মাত্র।
কবিতায় আবুল হাসান বাবা সম্পর্কে কী বলেন?
বাবা একটা আন প্রেডিকটেবল চরিত্র। আটকানো যায় না—কোনো সূত্রে। কবি আবুল হাসান যেভাবে আঁকেন বাবাকে তার ‘চামেলী হাতে নিম্নমানের মানুষ’ কবিতায়—
“আসলে আমার বাবা ছিলেন নিম্নমানের মানুষ
নইলে সরকারী লোক, পুলিশ বিভাগে চাকরি কোরেও
পুলিশী মেজাজ কেন ছিলনা ওনার বলুন চলায় ও বলায়?
চেয়ার থেকে ঘরোয়া ধূলো, হারিকেনের চিমনীগুলো মুছে ফেরার মতোন তিনি
আস্তেকেন চাকরবাকর এই আমাদের প্রভু নফর সম্পর্কটা সরিয়ে দিতেন?
থানার যত পেশাধারী, পুলিশ সেপাই অধীনস্থ কনেস্টবল
সবার তিনি একবয়সী এমনভাবে তাস দাবাতেন সারা বিকেল।
মায়ের সঙ্গে ব্যবহারটা ছিল যেমন ব্যর্থপ্রেমিক
কৃপা ভিক্ষা নিতে এসেছে নারীর কাছে।
আসলে আমার বাবা ছিলেন নিম্নমানের মানুষ
নইলে দেশে তাঁর ভাইয়েরা জমিজমার হিশেব কষছে লাভঅলাভের
ব্যক্তিগত স্বার্থ সবার আদায় কোরে নিচ্ছে সবাই
বাবা তখন উপার্জিত সবুজ ছিপের সুতো পেঁচিয়ে মাকে বলছেন, এই দ্যাখোতো
জলের রং এর সাথে এবার এই সুতোটা খাপ খাবেনা?
আমি যখন মায়ের মুখে লজ্জা ব্রীড়া, ঘুমের ক্রীড়া
ইত্যাদিতে মিশেছিলুম, বাবা তখন কাব্যি কোরতে কম করেননি মাকে নিয়ে
শুনেছি শাদা চামেলী নাকি চাপা এনে পরিয়ে দিতেন রাত্রিবেলা মায়ের খোপায়।
মা বোলতেন বাবাকে তুমি এই সমস্তলোক দ্যাখোনা?
ঘুষ খাচ্ছে, জমি কিনছে, শনৈঃ শনৈঃ উপরে উঠছে,
কত রকম ফন্দি আটছে কত রকম সুখে থাকছে,
তুমি এসব লোক দ্যাখোনা?
বাবা তখন হাতের বোনা চাদর গায়ে বেরিয়ে কোথায়
কবি গানের আসরে যেতেন মাঝরাত্তিরে
লোকের ভীড়ে সামান্য লোক, শিশিরগুলি চোখে মাখাতেন।
এখন তিনি পরাজিত, কেউ দ্যাখেনা একলা মানুষ
চিলেকোঠার মতোন তিনি আকাশ দ্যাখেন, বাতাস দ্যাখেন
জীর্ণ শীর্ণ ব্যর্থচিবুক বিষন্নলাল রক্তে ভাবুক রোদন আসে,
হঠাৎ বাবা কিসের ত্রাসে দুচোখ ভাসান তিনিই জানেন।
একটি ছেলে ঘুরে বেড়ায় কবির মতো কুখ্যাত সব পাড়ায় পাড়ায়
আর ছেলেরা সবাই যে যার স্বার্থ নিয়ে সরে দাঁড়ায়
বাবা একলা শিরদাঁড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন, কী যে ভাবেন,
প্রায়ই তিনি রাত্রি জাগেন, বসে থাকেন চেয়ার নিয়ে
চামেলী হাতে ব্যর্থ মানুষ, নিম্নমানের মানুষ।”
কবি আবুল হাসান ঠিকই বাবার মানচিত্র এই কবিতায় আঁকতে পেরেছেন। বাবা তো এমনই, সংসারের উচ্ছিষ্ট, অফিসের নিন্মমানের কেরানী, বকা খাচ্ছেন অফিসের বসের, অফিস শেষে সন্ধ্যার অস্বচ্ছ আলোয় বাসায় ফিরে আসেন বাজারের কমদামী মাছ, একটু পচা, গন্ধ আসছে—মা নাক চেপে ধরে বকে যাচ্ছেন, জীবনে কোনো দিন ভালো টাটকা মাছ আনতে পারলে না? ছেলেমেয়েদের মুখে এই পচা মাছ কী করে দেই?
বাবা বেসিনের কালো জলে মুখ মুছতে মুছতে বলেন, ঝোল রান্না করো না, বেশী মরিচ আর পেয়াজ দিয়ে ভেজে দাও, খেতে ভালো লাগবে।
আহারে বাবা, সাধ্যহীনতার মধ্যেও কীভাবে সুখের খুদ কুড়াতে হয়- সেই গল্প সেটে দেন জীবনের পেয়ালায়। তারপরও কী রেহাই আছে বাবা ভদ্রলোকের? সকালে ঘুম থেকে উঠবার সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে যে বাক্যটা শুনতে হয়, আর কতো ঘুমাইবা? বাজারে যাওয়া লাগবে।
বাবার চিত্ত আঁতকে ওঠে, বাজারে?
ক্যা? কি আনচো? গারা মাসে কোনো বাজার অইচে? পোলা মাইয়ার মুখে ছয় মাস অইচে এক টুকরা মাছ দিতে পারি না, আলু ভর্তা আর ডাইল ছাড়া?
বাবা সাহিত্যে নেই, ইতিহাসে নেই, গল্পে নেই, উপন্যাসে নেই, কবিতায় নেই—কিন্তু এই বাবা সংসারে, অফিসে, আদালতে, মাঠে ময়দানে, হাসপাতালে, ছোট্ট বাসার বারান্দায়, জোঁকের কামড় খেয়ে কোমর পানিতে ধান ক্ষেতে, রোদে পিঠ পুড়তে পুড়তে খোলা আকাশের নিচে উত্তাল নদী ও সমুদ্রে আছেন।
বাবার ঘুম ঘুম ভাবটা উবে যায়, বলে কী ভদ্রমহিলা? রাতটা কী চমৎকার কাটালাম উল্টে পাল্টে আর সকালেই এমন প্রকাশ? প্রকৃতপক্ষে সংসার কাউকে ক্ষমা করে না। বিশেষ করে বাবাকে তো নয়ই। বাবা শাঁখের করাত—যেতেও কাটে, আসতেই কাটে। সুতরাং বাবাকে অফিসের যন্ত্রণা গুটিয়ে রেখে ছুটতে হয় বাজারে। বাজার থেকে অনেক দেখে শুনে ঘেঁটে খেটে মাছ তরকারি আনার পরও শুনতে হয় মোক্ষম প্রশ্ন—বাজারে কী এর চেয়ে ভালো মাছ ছিল না? পচা মাছ? খাওয়া যায় এসব? আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে!
মনে রাখবেন, এরা মানে এই প্রজাতিরা দাঁতে দাঁত ঘষে মুখে বলে বটে কিন্তু মরে না। বালাই ষাট, মরে গেলে সংসার তো উচ্ছন্নে যাবে। এই প্রজাতিরা আবার ক্ষমা ঘেন্না করে বেঁচে থাকে, নইলে সংসারে সংসারে কতো অঘটনের গল্প যে লেখা হতো।
আহা বাবা! বেচারা বাবা! ওই যে শখের করাত, কাটে কিন্তু রক্তপাত হয় না। রক্তপাত হলে কিন্তু আবার উল্টো বিপদ—কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছো? আমি কী তোমাকে ভালোবাসি না?
ভালোবাসা?
সংসারে আবার বাবার জন্য ভালোবাসো আছে? বেচারা বাবা কী কখনো ভালোবাসার আমসত্ত্ব খুঁজে পেয়েছে—জীবনের সব বিসর্জন দিয়েও? বাবা একটা ফাঁদ, একটা প্রতারণাও! আগাপাছতলা বাবা একটা খুচরো চরিত্র, সংসারে। থাকলেও চলে না থাকলেও চলে—শুধু সরবরাহ করে যাও—চাল, ডাল, আটা, নুন, তেল, প্রেম, অনুরাগ, স্নেহ, মমতা, বিনা প্রশ্নে, নিঃশর্তে। এটা করতে পারলেই তুমি বাবা। অসাধারণ বাবা!
আর যদি একটু তেল কম আনা হয়, তুমি শালা বেকুব অকর্মণ্য। সংসারে যথাযথভাবে তেল সাপ্লাই দিতে পারো না। তাহলে, আমরা এই উপসংহারে পৌঁছুতে পারি, দুনিয়ায় বাবা হচ্ছে সংসারে তৈল সরবরাহকারী।
আবার যখন জানি—এক কন্যা সন্তান বাবার হত্যার বিচার করার জন্য, আইন পড়ে। আইন পড়া শেষ করার পর সেই মামলা পুনরুজ্জীবিত করে, নতুন তদন্ত করিয়ে প্রমাণ করিয়ে আদালতে সওয়াল জবাব দিয়ে, প্রমাণ উপস্থাপন করে প্রমাণ করে—বাবা হত্যাকারী ছিল না। বাবা নির্দোষ—তখন আমরা এ্যাবাউট র্টান করে ঘুরে দাঁড়াই টুপি খুলে, বাবা বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে, অফিসের যাবতীয় অপমান সহ্য করে, যখন ফুটো ছাতা মাথায় দরজায় এসে দাঁড়ায়, তখন প্রাণের সব দুয়ার খুলে বলতে হয়, বাবা তোমাকে প্রণাম। তুমি আমার অহংকার। তুমি আমার সুখ, তুমি আমার সাহস, তুমি আমার আকাশ, তুমি আমার গান, তুমি আমার অযুত প্রেরণার উৎস...
বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর সব চেয়ে ভারী বস্তু পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ! কেন বলা হয়? বাবা জীবনের সব পরমায়ু দিয়ে সন্তানের পরমায়ু কামনা করেন। কিন্তু সন্তান? সন্তান যখন বৌয়ের প্ররোচনায় পিতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে, তখন এইসব আপ্ত বাক্য কোথায় থাকে?
ইতিহাসে জানা যায়, ভারতের প্রথম মোগল সম্রাট জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবর নিজের জীবনের বিনিময়ে রোগ শয্যায় পীড়িত সন্তান যুবরাজ হুমায়ুনের পরমায়ু প্রার্থনা করেছিলেন। কথিত আছে, ধীরে ধীরে সম্রাট বাবর অসুস্থ হয়ে উঠছিলেন আর হুমায়ূন সুস্থ হয়ে যাচ্ছিলেন।
বাবা সাহিত্যে নেই, ইতিহাসে নেই, গল্পে নেই, উপন্যাসে নেই, কবিতায় নেই—কিন্তু এই বাবা সংসারে, অফিসে, আদালতে, মাঠে ময়দানে, হাসপাতালে, ছোট্ট বাসার বারান্দায়, জোঁকের কামড় খেয়ে কোমর পানিতে ধান ক্ষেতে, রোদে পিঠ পুড়তে পুড়তে খোলা আকাশের নিচে উত্তাল নদী ও সমুদ্রে আছেন। বাবা সর্বত্র আছেন কিন্তু অনুভবে বা অনুবাদে কোথাও নেই।
কয়েক দিন আগে ফেসবুকে একজন বাবার কীর্তি দেখলাম। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে জামাই অত্যাচার করে। বাবা ঢাক ঢোল পিটিয়ে সেই হার্মাদ শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রিয় কন্যাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। এমন সাহসী কর্ম বাবাই পারেন—বাবা আত্মা ও শুদ্ধতার প্রতীক জগতের সব সন্তান ও সংসারের জন্য।
বাবা দিবস বছরের কোনো একদিন নয়, প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে হয় বাবা দিবস। প্রতিটি বাসার অভ্যন্তরে সন্তান আর বাবার মধ্যে স্নেহ মমতা আর ভালোবাসার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গিকারে।
মনি হায়দার ।। কথাসাহিত্যিক
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)