শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২


শিবগঞ্জের ২৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৩টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই

জেলা সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশিত:২৩ আগষ্ট ২০২৫, ১৮:২৪

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৩টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হয়নি। তাছাড়া শূন্য প্রধান শিক্ষকদের পদগুলি পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জের প্রত্যন্তাঞ্চলে বর্তমানে ৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। শূন্য থাকার কারণ হলো- কেউ অবসরে গেছেন, কেউ বদলি হয়েছেন। তবে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সে সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে প্রাথমিক শিক্ষা নড়বড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক প্রধান শিক্ষক বলেন, একটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকতে পারে না। কারণ ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দিলেও সমান পদ মর্যাদার মনে করে অন্যান্য শিক্ষকরা গুরুত্ব দেয় না। ফলে ঠিকমত ক্লাস হয় না। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ঠিকমত উপস্থিত হয় না। উপস্থিত হলেও দেরিতে আসেন। বিদ্যালয়গুলির নিয়ম শৃঙ্খলা অনেকটা ভেঙ্গে পড়ে।

পাঁকা ইউনিয়নের এ্যাডভোকেট আসফাকুর রহমান রাসেল জানান, নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন কারণে বৃহত্তর দিয়াড় এলাকায় প্রতিকূল অবস্থা হওয়ায় বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। তারপর আবার অনেকগুলো বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান শূন্যের কোঠায় যেতে শুরু করেছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলির এলাকা ঘুরে স্থানীয়রা একই মত প্রকাশ করেন যে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান দিন দিন নিচে নামছে।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুসাব্বির হোসেন খান জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার মান কিছুটা কমাই স্বাভাবিক। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শিক্ষার মান ধরে রাখার।

তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়া ও বদলী জনিত কারণে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে, সে সমস্ত বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। তাছাড়া আমরা ইতিমধ্যে উপজেলা মাসিক সভায় আলোচনা করেছি এবং শূন্য পদগুলির তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই শূন্য পদগুলি পূরণ হয়ে সমস্যার সমাধান হবে।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:১৮ ভোর
যোহর ১২:০২ দুপুর
আছর ০৪:৩৫ বিকেল
মাগরিব ০৬.২৯ সন্ধ্যা
এশা ০৭:৪৪ রাত

শনিবার ২৩ আগস্ট ২০২৫