রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
দেশজুড়ে অর্থঋণ আদালতগুলোতে জমে থাকা লাখো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ২৩ দফা সুপারিশসহ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল আজাদ।
গত রোববার (১২ জুলাই) রেজিস্ট্রাড ডাকযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে সারাদেশে অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪ হাজার। এসব মামলার বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ঋণগ্রহীতাদের কাছে মোট পাওনার পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা দেশের মোট ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে থাকায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবাহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
অ্যাডভোকেট জুয়েল আজাদ মনে করেন, এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, এর প্রভাব পড়ছে পুরো অর্থনীতির ওপর। এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশেই ঋণ আদায়ে মামলার হার সর্বোচ্চ, যা উদ্বেগজনক।
এই প্রেক্ষাপটে নোটিশে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, ঋণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও আদায় কার্যক্রম গতিশীল করতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তার প্রস্তাবিত ২৩টি গাইডলাইনের মাধ্যমে এই জটিলতা কিছুটা হলেও নিরসন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইনজীবীর দাবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে নিরপেক্ষ ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থঋণ আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে পারে। একইসঙ্গে ঋণখেলাপির সংস্কৃতিও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)