মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ব্যাংকের বাইরে অর্থাৎ মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। জুন শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা।
এর আগে এপ্রিলে নগদ অর্থ কমলেও মে মাসে তা আবার বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। ওই মাসে ব্যাংকের বাইরে থাকা অর্থ বাড়ে ১৬ হাজার ৪১১ কোটি ৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ মে থেকে জুন— টানা দুই মাস মানুষের হাতে নগদ অর্থ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। আগস্টে এই পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। পরের মাসগুলোতেও তা ক্রমেই কমতে থাকে— অক্টোবরে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি, নভেম্বরে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৬ কোটি, ডিসেম্বরে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি, জানুয়ারিতে ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ কোটি এবং ফেব্রুয়ারিতে নেমে আসে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকায়।
কিন্তু চলতি বছরের মার্চে আবারও উল্টো প্রবণতা দেখা দেয়। এ মাসে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। এপ্রিল শেষে তা কমে দাঁড়ালেও মে এবং জুনে আবার বেড়ে গেছে।
এ ছাড়া, বাজারে মুদ্রা সরবরাহও বেড়েছে। এপ্রিলে ব্যাংক খাতে ছাপানো টাকার স্থিতি (রিজার্ভ মানি) ছিল ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ১৪ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমলেও নভেম্বরে থেকে আবার বাড়তে শুরু করে এবং গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত এই ধারা বজায় থাকে। অক্টোবর ২০২৩-এ নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। সেখান থেকে টানা ১০ মাসে বেড়ে আগস্টে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।
খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের খরচ বেড়ে গেছে। এজন্য অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে হাতে রাখছেন। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের দুর্বল অবস্থা ও কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীনতাও নগদ অর্থ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)