রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে শিগগির। তবে এবার ভর্তিতে আগের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ পড়তে পারে। নতুন করে যুক্ত হতে পারে জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা যেখানে গণঅভ্যুত্থানে আহত বা তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।
এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা নিয়ে রোববার (১৩ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক থেকে একাদশে ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা অনুমোদন করা হতে পারে।
২০২৪ সালে প্রণীত সবশেষ নীতিমালা অনুযায়ী— একাদশ শ্রেণিতে বর্তমানে মেধা কোটায় ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। অর্থাৎ সবার জন্য ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি করানো হয়। যার মধ্যে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন ২৮টি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তারা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা প্রথা বাতিল করার পক্ষে মতামত দেবেন তারা। নাতি-নাতনি কোটা বাতিল হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য একাদশ শ্রেণিতে এখন আর কোটা রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। তাছাড়া পোষ্য কোটা নিয়েও দীর্ঘদিন সমালোচনা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের এ সুবিধা দেওয়ারও পক্ষে নয় শিক্ষা বোর্ডগুলো।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, জুলাইয়ে যারা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে, তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও এ কারণে হয়তো ভালো ফল করতে পারেনি। যেহেতু ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়, সেক্ষেত্রে তারা বঞ্চিত হবে। এদিক থেকে গণঅভ্যুত্থান কোটা রাখাটা জরুরি। সেটা হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য হবে। অর্থাৎ, আগামী দুই বা তিন বছরের জন্য এ কোটা থাকবে। পরে বিলুপ্ত করা হবে।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)