মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে— এমন সব দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্ধিত শুল্ক আরোপের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে প্রায় ১০০ দিন সময়ও দিয়েছিলেন তিনি।
গত ২ এপ্রিল অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তারপর এটি কার্যকরের জন্য যে সময়সীমা তিনি দিয়েছিলেন, তা ও শেষ হচ্ছে আগামী ৯ জুলাই। তবে সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সময়সীমাকে ১ আগস্ট পর্যন্ত উন্নীত করেছেন এবং বর্ধিত শুল্কের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশকে চিঠি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাকি দেশগুলো হলো জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া অ্যান্ড হারজেগোভিনা, তিউনিশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সারবিয়া, কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ড।
এসব দেশের মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, তিউনিসিয়া’র ওপর ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও বসনিয়া অ্যান্ড হারজেগোভিনার পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ, বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ, কম্বোডিয়া ও থাইল্যাণ্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ শুল্প আরোপ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি শুল্ক জারি করা হয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও লাওসের ওপর—৪০ শতাংশ।
সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে চিঠিগুলোর ইমেজ পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি যে ১৪ দেশকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট, তাদের প্রত্যেককে একটি সাধারণ সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, যদি এসব দেশ পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করে, তাহলে এসব দেশের ওপর ধার্যকৃত শুল্কের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
সূত্র : এনবিসি
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)