মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
‘ক্যানসার’ এখন শুধু অসুখ নয়, এক আতঙ্কের নাম। রোগীর মানসিক চাপের পাশাপাশি পরিবার-পরিজনও পড়ে যান দুশ্চিন্তার গভীরে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি সত্ত্বেও ক্যানসার শনাক্ত হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তৃতীয় বা চতুর্থ ধাপে, যখন চিকিৎসাও হয়ে পড়ে জটিল।
চিকিৎসকেরা বলেন, রোজের জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস সবকিছুই এর জন্য দায়ী। স্তন, কোলন, প্রস্টেট, ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারও চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। ক্যানসার সাধারণ হোক বা বিরল, সব ক্ষেত্রেই এই ‘গ্রোথ অব সেল’ হবেই। খুব তাড়াতাড়ি এক কোষ থেকে অন্য কোষে তা ছড়াবে।
এমন বাস্তবতায় জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এনে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব—এমনটাই জানালেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।
তাদের মতে, ওষুধ বা দামী সাপ্লিমেন্ট নয়, মাত্র তিনটি ঘরোয়া পানীয় নিয়মিত গ্রহণ করলেই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং কমে ক্যানসারের ঝুঁকি।
সুপারিশকৃত সেই তিন পানীয় হলো-
১. মাচা গ্রিন টি
মাচা চা-তে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পলিফেনল, অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মাচা চা-এ থাকা কিছু উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়। এই চা খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, প্রদাহজনিত অসুখের ঝুঁকি কমে।
যেভাবে বানাবেন: এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ মাচা চায়ের গুঁড়া দিন। চাইলে সামান্য ব্রাউন সুগার ও দুধ মিশিয়ে নিতে পারেন। চুলায় গরম করে নেড়ে নিন—তৈরি আপনার মাচা গ্রিন টি।
২. সবুজ স্মুদি
শাকসবজিতে ফাইবার ভরপুর পরিমাণে থাকে এই স্মুদিতে। ভিটামিন এ, সি, ই, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনে ভরপুর এই স্মুদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। স্মুদি প্রতিদিন খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এবং ক্যানসারসহ বহু জটিল রোগ এড়ানো সম্ভব হয়।
যেভাবে বানাবেন: পালং শাক গরম জলে ধুয়ে নিতে হবে। কলার খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। একইভাবে শসা কেটে নিতে হবে। এর পর উপকরণগুলিকে এক সঙ্গে নিয়ে তাতে অল্প পরিমাণে আদা মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। গ্লাসে ঢেলে ওপরে দিন এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়া।
৩. হলদি দুধ
হলুদের কারকিউমিন উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে অন্যতম কার্যকর। এর সঙ্গে যদি মেশানো হয় দারচিনি ও গোলমরিচ, তখন তা হয়ে ওঠে আরও শক্তিশালী প্রতিরোধক।
যেভাবে বানাবেন: গরুর দুধে বা বিকল্প হিসেবে আমন্ড বা ওটসের দুধে দিন এক চা চামচ হলুদ, একটি গোটা গোলমরিচ ও এক টুকরো দারচিনি। নেড়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে পান করুন ঘুমের আগে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গোলমরিচে আছে ভিটামিন, শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। আছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার, সামান্য প্রোটিন এবং শর্করাও। আর আছে পিপারিন নামের একটি উপাদান। এই পানীয় খেলে ক্যানসারের মতো ভয়ংকর রোগও থাকবে দূরে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)