বৃহঃস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
কিডনিতে পাথর হলে পেঁপে খাওয়া সীমিত করা উচিত। কারণ পাকা পেঁপে সাধারণত নিরাপদ, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা বা আধাপাকা পেঁপে খেলে সমস্যা হতে পারে। এতে অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
পেঁপের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, কিছু ক্ষেত্রে অক্সালেট নামক যৌগে রূপান্তরিত হতে পারে। যা কিডনিতে পাথর তৈরি করে। তাই যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি আছে কিংবা একবার হয়েছে, তাদের অতিরিক্ত পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি পেঁপে খেতেই হয়, তবে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খান।
ফল সবারই পছন্দ। পুষ্টিগুণে ভরপুর পেঁপে যেন কারও জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে না ওঠে। যদিও পেঁপে সব ফলের মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে। ভিটামিন এ, সি, ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর পেঁপেতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার। আর প্যাপাইন নামক উৎসেচক থাকায় পেঁপে খাবার হজম করতেও সাহায্য করে।
পেঁপেতে গুণের শেষ নেই। কিন্তু পেঁপে কারও কারও জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেল্থ, ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনসহ একাধিক সংস্থার গবেষণা বলছে—কাঁচা পেঁপে বেশি খেলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কিডনিতে যাদের একবার পাথর হয়েছে, তারা শরীরের প্রতি যত্নশীল না হলে এবং নিয়ম না মানলে আবার পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর পাকা পেঁপেতে সমস্যা না থাকলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, পেঁপেতে থাকা ভিটামিন সি, অক্সালেটে রূপান্তরিত হয়। আর অতিরিক্ত অক্সালেট ক্যালশিয়ামের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্যালশিয়াম অক্সালেট তৈরি করে, যেটি কিডনির পাথরের কারণ। সে কারণে কি়ডনিতে পাথর হলে, তাদের ভিটামিন সি বুঝে খাওয়া দরকার। পেঁপে উপকারী হলেও বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
আবার অন্তঃসত্ত্বাদের পেঁপে খাওয়া নিরাপদ নয়। কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্সযুক্ত পদার্থ থাকে। আর থাকে প্যাপাইন, যা যুগ্মভাবে গর্ভাশয় সঙ্কোচনের কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা পাকা পেঁপে খেলে আচমকা প্রসববেদনা উঠতে পারে।
এ ছাড়া থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে পেঁপে। কারণ হাইপোথাইরয়েডের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের কাঁচা পেঁপে খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ পেঁপেতে থাকা কোনো কোনো উপাদান থাইরয়েডের ক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। ফলে অবসাদ এবং ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আবার হার্টের পক্ষেও ক্ষতিকর হতে পারে পেঁপে। কারণ কাঁচা পেঁপেতে সায়ানোজেনিক যৌগ মেলে, যা খুব অল্প পরিমাণে হলেও শরীরে হাইড্রোজেন সায়ানাইডের নির্গমন ঘটায়। এই রাসায়নিকই অনিয়মিত হৃদস্পন্দের কারণ হতে পারে। সে কারণে হার্টের রোগীদের নিয়মিত কাঁচা পেঁপে না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)