মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
হজের আমলগুলো শুরু হয় ৮ জিলহজ থেকে। ৮ জিলহজ হাজিরা ইহরাম বেঁধে মিনায় যান। এরপর ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন। ১০ জিলহজ মুদালিয়া অবস্থান করেন। এবং এদিন জামরায় কংকর নিক্ষেপের কাজ শুরু হয়। ১০, ১১, ১২ জিলহজ টানা তিন দিন জামারায় কংকর নিক্ষেপ করতে হয়।
কংকর নিক্ষেপকে রমী বলা হয়। রমী অর্থ কংকর নিক্ষেপ করা। মসজিদে হারামের দিক থেকে সর্বশেষ কংকর নিক্ষেপের স্থানকে ‘জামরা আকাবা’ বলা হয়। এখানে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করতে হয়।
কংকর নিক্ষেপের স্থানে যে চওড়া পিলার আছে তাতেই কংকর মারা জরুরি নয় বরং বেষ্টনীর ভিতরে পড়াই যথেষ্ট। পিলারে কংকর লেগে তা যদি বেষ্টনীর বাইরে গিয়ে পড়ে তবে তা ধর্তব্য হবে না, ওই কংকর পুনরায় নিক্ষেপ করতে হবে।
প্রত্যেক হাজির জন্য কংকর নিক্ষেপের কাজ নিজেই করতে হয়। তবে ভীড়ের কারণে কিংবা অন্য কোনো শরয়ী কারণে অন্যকে দিয়ে কংকর নিক্ষেপ করাতে পারবে। ইসলামের দৃষ্টিতে অসুবিধা বিবেচিত নয়, এমন কোনো কারণ ছাড়া অন্যের মাধ্যমে রমী করানো জায়েয নয়। শরয়ী কারণ ছাড়া অন্যকে দিয়ে রমী করালে তা আদায় হবে না। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে পুনরায় নিজের রমী করতে হবে। যদি না করে তবে দম ওয়াজিব হবে।
শরয়ী কারণ হল— এমন অসুস্থতা বা দুর্বলতা যার কারণে বসে নামাজ পড়া জায়েয। অথবা অসুস্থতার কারণে জামরাত পর্যন্ত পৌঁছা খুবই কষ্টকর হয় কিংবা রোগ অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তবে এমন ব্যক্তি অন্যকে দিয়ে রমী করাতে পারবে। (আহকামে হজ ৭৬-৭৭)
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)