বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২


১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত:২২ জুলাই ২০২৫, ২২:০২

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

শুরুর ধসের পর ফাহিম আশরাফের ঝোড়ো ফিফটি ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এরপর আহমাদ দানিয়ালও ভয় দেখালেন কিছুটা। তবে শেষমেশ সব ভয়কে জয় করল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ১২৫ রানে অলআউট করে ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় তুলে নিল। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল লিটন দাসের দল।

পাকিস্তানের ইনিংস শুরু হয় বিপর্যয় দিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রানআউট হন ওপেনার সাইম আইয়ুব। এরপর একে একে ফিরতে থাকেন মোহাম্মদ হারিস, ফখর জামান, হাসান নেওয়াজ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। তানজিম হাসান ও শরীফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপরও বিপর্যয় থামেনি। আগা সালমান ও খুশদিল শাহও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। খুশদিলের জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে না পারা, এবং মেহেদী হাসানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে এলবিডব্লু হয়ে যাওয়া দলটির জন্য ছিল বড় ধাক্কা। ৪৭ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা।

তবে ফাহিম আশরাফ একাই প্রতিরোধ গড়েন। রিশাদ হোসেনের এক ওভারে ২০ রান নিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় সফরকারীরা। ১৭তম ওভারে শরীফুল ফিরিয়ে দেন আব্বাস আফ্রিদিকে। সেই ওভারে তানজিম একটি ক্যাচ ফেলে দিলে বেঁচে যান ফাহিম।

শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৮ রান, হাতে ছিল ২ উইকেট। রিশাদের করা ১৯তম ওভারে ১৫ রান তুলে নেয় ফাহিম ও দানিয়াল। তবে ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে দেন রিশাদ। ততক্ষণে ৪৫ রান করে ফেলেছেন ফাহিম।

শেষ ওভারে মোস্তাফিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান, বাংলাদেশের দরকার ১ উইকেট। প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান দানিয়াল। তবে পরের বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পাকিস্তান থেমে যায় ১২৫ রানে, বাংলাদেশ জেতে ৮ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৩ রানে ফিরেন নাঈম শেখ। এরপর লিটন, হৃদয় ও পারভেজও খুব দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। পাওয়ার প্লেতেই বাংলাদেশের রান হয় মাত্র ২৯, ততক্ষণে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দল।

এরপর জাকের আলী আর মেহেদী হাসান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৩ রান, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে এই উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। মেহেদী ২৫ বলে ৩৩ রান করে ছক্কা মারার পরের বলেই আউট হয়ে যান।

তবে জাকের আলী একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। শামীম, তানজিম, রিশাদ ফিরলেও তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান। শেষ ওভারে দুটি ছক্কা মারেন আব্বাস আফ্রিদির বলে। ছক্কা মেরেই তিনি পৌঁছান নিজের ফিফটিতে। শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ৫৫ রান করে।

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১৩৩ রানে। পুরো ইনিংসে কেবল জাকের ছাড়া কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে বোলারদের কল্যাণে সে পুঁজিটা ভালোভাবেই সামলেছে স্বাগতিকরা। সিরিজ জয় করে ফেলেছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:০০ ভোর
যোহর ১২:০৫ দুপুর
আছর ০৪:৪৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.৫০ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১১ রাত

বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫