বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২


দুদকের মামলা

১০ কাঠার প্লট দুর্নীতিতে আসামি বিচারপতি খায়রুল ও রাজউক চেয়ারম্যানসহ ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:৬ আগষ্ট ২০২৫, ১৩:১৯

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীতে ৬ তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা হলফনামা দাখিল করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গত ৪ আগস্ট প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে।

মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ) ও সদস্য (এস্টেট) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য (অর্থ) মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালনকালে তার স্বীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে উত্তরাধিকার হিসেবে রাজধানী ঢাকায় তার পৌনে ১৮ কাঠা জমিতে একটি ৬ তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও রাজউকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদানপূর্বক রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নিজ নামে ঢাকা শহরে পৈত্রিক বাড়ি ও জমি থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নেন। মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বিধি ১৩ লঙ্ঘন করে হলফনামা দাখিল করে রাজউকের ১০ (দশ) কাঠা প্লট আত্মসাৎ করার মাধ্যমে অপরাধ করেছেন প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয় বরাদ্দকৃত প্লটের সুদসহ প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ওই প্লট বাতিলও হয়েছিল। কিন্তু আসামিরা সুদের ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মওকুফ করে সরকারে আর্থিক ক্ষতিসাধন করে পুনরায় প্লট বরাদ্দে সিদ্ধান্ত দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ও বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গত ২৪ জুলাই সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গত বছর এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বিচারক হিসেবে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।

২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবিএম খায়রুল হক। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:১০ ভোর
যোহর ১২:০৫ দুপুর
আছর ০৪:৪২ বিকেল
মাগরিব ০৬.৪২ সন্ধ্যা
এশা ০৮:০০ রাত

বুধবার ৬ আগস্ট ২০২৫