মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহিত
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চতুর্থ পর্বের নৌ অবরোধ ঘোষণা করছি। অবরোধ চলাকালে লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলের বন্দরের উদ্দেশে যাওয়া যে কোনো কোম্পানির জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে। এক্ষেত্রে ওই কোম্পানির নাম বা কোম্পানিটি কোন দেশের— সেসব বিবেচনা করা হবে না।”
“বিশ্বের প্রতিটি জাহাজ কোম্পানির উদ্দেশে আমাদের আহ্বান— এই বিবৃতি প্রকাশের পর যত দ্রুত সম্ভব ইসরায়েলি বন্দরের সঙ্গে যাবতীয় চুক্তি ও সমঝোতা স্থগিত করুন। নইলে যে কোনো জায়গায়, যে কোনো অবস্থায় আপনাদের জাহাজ আমাদের ড্রোন কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রের শিকার হবে।”
“সেই সঙ্গে আমরা বিশ্বের সব দেশকে আহ্বান জানাচ্ছি যে এই নৌ অবরোধ এড়ানোর একমাত্রা উপায় হলো শত্রপক্ষকে (ইসরায়েল) গাজায় আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব বন্ধে চাপপ্রয়োগ। গাজায় যা চলছে, তা এই বিশ্বের কোনো সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ওই দিন থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার এক মাস পর ২০২৩ সালের নভেম্বরে লোহিতসাগরে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নৌ অবরোধ ঘোষণা করে হুথি গোষ্ঠী।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)