রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা প্রত্যেকের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কথা বললে সবার আগে বেরি, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদির কথা মাথায় আসে। যদিও অনেক উদ্ভিদজাত খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, তবুও এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একমাত্র উৎস নয়। অনেক পানীয়তেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কোন পানীয়গুলো সেরা-
আঙুরের রস
আঙুরের রসে রেসভেরাট্রল থাকে, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি, কোলেস্টেরল, রক্তচাপ ও প্রদাহ কমায়। সেইসঙ্গে এটি স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেতে নিয়মিত আঙুরের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
জবা ফুলের চা
জবা ফুলের চা জবা ফুলের ফুলের পাপড়ি থেকে তৈরি করা হয়। এতে ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
বিটের রস
বিট বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে। এটি পটাসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও সরবরাহ করে। বিটের রস খেলে তা রক্তচাপ কমাতে এবং অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্স উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে।
ডালিমের রস
ডালিমের বীজে পলিফেনল থাকে, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডালিম ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই নিয়মিত ডালিমের রস খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
গোল্ডেন মিল্ক
গোল্ডেন মিল্ক বা হলুদ দুধের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রদাহ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কাজ করে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)