শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
গলার কাছে থাকা ছোট্ট একটি গ্ল্যান্ড যা দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো তাকে থাইরয়েড বলে। এই গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত হরমোন নানা শারীরবৃত্তীয় কাজে সাহায্য করে। কিন্তু কখনো কখনো থাইরয়েড গ্ল্যান্ড খুব বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ে। আবার কখনো প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ করে। আর এমনটা হলেই হরমোনের মাত্রায় তারতম্য দেখা দেয়।
থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে তাকে ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’ বলা হয়। আর যদি প্রয়োজনের তুলনায় হরমোনটির ক্ষরণ কম হয়, তখন তাকে ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ বলা হয়। যে কারণে অনেকের ওজন, চুল পড়ার হার বেড়ে যায়।
আবার, অনেকের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনের মাত্রা কমে যেতে দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওযুধ খেতে হয়। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার যদি ডায়েট থেকে বাদ দিতে পারেন, তাতেও উপকার মিলবে।
থাইরয়েড থাকলে কোন কোন খাবারগুলো খাবেন না? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সয়াজাত খাবার
বেশ কিছু সমীক্ষা অনুযায়ী, সয়াজাত খাবার বেশি খেলে থাইরয়েডের সমস্যা বেড়ে যায়। থাইরয়েডের ওষুধের সঙ্গে এই খাবার খেলে উল্টো প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে খাদ্যতালিকা থেকে টোফু, সয়াবিন থেকে প্রাপ্ত দুধ ইত্যাদি কম খাওয়াই ভালো।
ক্রুসিফেরাস সবজি
ক্রুসিফেরাস সবজি যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, ব্রকলি, কালে, মূলা, শালগম ইত্যাদি থাইরয়েডের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত থাইরয়েডের ওষুধ খেলে এমন খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্যাকেটবন্দি প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে বাড়তি লবণ আর চিনি। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যা ওষুধের সঙ্গে মিশে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এসব খাবার যত কম খাবেন ততই মঙ্গল।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)