বৃহঃস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
জীবন এখন হয়ে গেছে ব্যস্ততায় ভরপুর। তাই সঙ্গীর জন্য সময় বরাদ্ধ থাকে কম। এরপরও কেউ কেউ বিশেষ দিনে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে খেতে বের হন। কিংবা ঘরে ফেরেন দামি কোনো উপহার নিয়ে। ভাবেন এতেই সম্পর্ক হবে শক্তিশালী ও সুখী। আসলেই কি তাই? হ্যাঁ, সম্পর্কের ক্ষেত্রে উপহার বা ডিনার ডেট ভূমিকা রাখে বটে তবে এগুলো দিয়ে ভালোবাসা পূরণ হয় না।
দামি উপহার নয় বরং সম্পর্কের বন্ধন লুকিয়ে আছে ছোটোখাটো কিছু বিষয়ে। এই যেমন সঙ্গীকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরা, একসঙ্গে মজার কোনো কাজ করা কিংবা কোনো কাজে ধন্যবাদ জানানো- এগুলোও কিন্তু ভালোবাসার মাধ্যম। এসব ছোট ছোট অভ্যাস সম্পর্ককে প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী রাখে। চলুন এসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
প্রতিদিন কথা বলা
ব্যস্ততা জীবনেরই অংশ। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, এর ফাঁকেই সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনি কেমন আছেন? শরীর কেমন আছে? কী করছে?— এমন প্রশ্নগুলোই দুজনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে। বাড়বে সম্পর্কের বন্ধন।
মনোযোগ দিয়ে শুনুন
কথা বলা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, মনযোগ দিয়ে কথা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কে থাকা দুজন মানুষ যখন সত্যিই একে অপরের কথা শোনে এবং মাঝে মাঝে চিন্তাশীল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, তখন সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
ছোট ছোট ভালোবাসার অঙ্গভঙ্গি
সম্পর্ক কেবল প্রেমের বিষয় নয়। হাত ধরা, জড়িয়ে ধরা, এমনকী হালকা স্পর্শও সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। ভালোবাসা প্রকাশের সহজ উপায়ও এটি।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
একটি ছোট ধন্যবাদও সম্পর্কে অনেক গুরুত্ব রাখে। যদি সঙ্গী আপনাকে দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজেও সাহায্য করে, তাহলেও তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা উভয়ই বাড়ায় এই অভ্যাস।
একসঙ্গে কাজ করা
যদি কোনো দম্পতি সত্যিই একে অপরকে ভালোবাসে এবং সম্মান করে, তাহলে তারা গৃহস্থালির কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। পার্টনারশিপ অনুভূতিকে শক্তিশালী করে এমন অভ্যাস। অনেক পুরুষই নিজের অবস্থান উপরে রাখতে স্ত্রীকে ঘরের কাজে কোনো সাহায্য করেন না। অথচ পানি ঢেলে খাওয়া, থালা বাসন ধোয়ার কাজে সাহায্য করা কিংবা বিছানা ঝাড় দেওয়ার মতো কাজগুলোও ভালোবাসা বহন করে।
ছোট ছোট আনন্দ
ভালোবাসার জন্য সবসময় বড় সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কখনো কখনো একটি সুন্দর হাতে লেখা চিঠি কিংবা চকলেট দিয়েও সঙ্গীর দিনটিকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। ঘরে ফিরতে পারেন তার প্রিয় ফুল কিংবা প্রিয় খাবার নিয়ে। একইভাবে নারীরা রান্না করে ফেলতে পারেন স্বামী প্রিয় খাবার।
একসঙ্গে কাটানো সময়
বাসায় ফেরার পরও দুজন মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন? স্ক্রিন টাইম কমিয়ে বাড়ান একসঙ্গে সময় কাটানো, যেমন হাঁটাহাঁটি করা বা একসঙ্গে বই পড়া, রান্না করার মতো অভ্যাস। এসব কাজ সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।
একসঙ্গে হাসুন
একে অপরের সঙ্গে রসিকতা ভাগাভাগি করুন। হালকা আড্ডা দেওয়া সম্পর্কের মধ্যে মজা আনে এবং আরও গভীর বন্ধন তৈরি করে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)