সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
এবার হাঁটতে হাঁটতেই জুতার সাহায্যে চার্জ দেওয়া যাবে নিজের ফোনে। এমনই অভিনব এক জুতা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মাত্র ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। তার দাবি, যারা প্রায়শই ফোন চার্জ দিতে ভুলে যান, তাদের কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ জুতা তৈরি করেছে সে।
আমরা অনেকেই বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ফোন চার্জ দিতে ভুলে যাই। কিন্তু রাস্তায় বেরোনোর পরই ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়, তখন পড়ে যেতে হয় সমস্যায়। তবে এই নতুন প্রযুক্তির জুতা থাকলে চার্জ দেওয়ার ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে।
কীভাবে কাজ করে এই জুতা?
জুতার ইনসোলে লাগানো আছে একটি ছোট্ট ডিভাইস, যার মধ্যে রয়েছে Piezoelectric উপাদান। হাঁটার সময় বা দৌড়ানোর সময় পায়ের চাপের ফলে এই ডিভাইস বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। সেই বিদ্যুৎ ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে ফোন বা অন্য ছোটখাটো গ্যাজেট চার্জ করতে ব্যবহার করা যায়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ইনসোল পরে যদি কেউ প্রায় ২ ঘণ্টা বাস্কেটবল খেলে, তাহলে যে পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, তা দিয়ে ফোন প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত চালানো সম্ভব।
উদ্ভাবকের পরিচয়
এই স্মার্ট জুতার উদ্ভাবক ফিলিপিনোর এক কিশোর ছাত্র, নাম অ্যাঞ্জেলো ক্যাসিমিরো। সে এই জুতার নাম দিয়েছে Smart Shoe Insoles।
কাদের জন্য উপযোগী?
অ্যাঞ্জেলো একটি পোর্টেবল চার্জারও তৈরি করেছে, যা এই ইনসোলের সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। এটি বিশেষভাবে উপযোগী-
যারা নিয়মিত জগিং করেন বা পাহাড়ে ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন।
যারা প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করেন, যেখানে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যায়।
যারা বহির্বিশ্বে কাজ করতে গিয়ে চার্জিংয়ের অসুবিধায় পড়েন।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি
এই প্রযুক্তি পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করে, যা পরিবেশবান্ধবও বটে। বাহ্যিক বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভর না করে শরীরের গতিবিধি থেকেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
অ্যাঞ্জেলোর এই উদ্ভাবন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকে একে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি হিসেবে দেখছেন। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)